যাকাত ওয়েলফেয়ার ফান্ড

শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান

যাকাত ওয়েলফেয়ার ফান্ড গঠনের ঘোষণা

যাকাতের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে আমরা একটি যাকাত ওয়েলফেয়ার ফান্ড গঠন করেছি। 

২৩

বছর ধরে পথচলা

৯.৩২+

কোটি টাকা সমপরিমাণ সহায়তা

১৫

দাতব্য চিকিৎসালয়

৯৭

সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

আশীষ বাণী

সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান
ম্যানেজিং ট্রাস্টি
শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট


নিয়মিত কার্যক্রম

মাইজভাণ্ডারী দর্শনের মূল শিক্ষা তথা বিশ্বভ্রাতৃত্ব ও সর্বজীবের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট’ সমাজের দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত ও নিঃস্বদের সাহায্য এবং সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে জনকল্যাণমূলক কাজে সম্পূর্ণরূপে নিবেদিত।


সফলতার গল্প

যাকাত ওয়েলফেয়ার ফান্ডের সহায়তায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে অনেক ব্যক্তি ও পরিবার। এখানে এ ধরনের অল্প কয়েকটি কেস স্টাডি উপস্থাপন করা হলো

খালেদা এখন নিজেই রোজগার করেন…

দুই মেয়ের জননী খালেদা ইয়াসমিন (স্বামী: মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ৬ নং খিতাপচর ওয়ার্ড, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম)। স্বনির্ভরতা অর্জনে খালেদা ইয়াসমিন এর চাহিদা অনুসারে শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট পরিচালিত দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প এর ব্যবস্থাপনায় ২০১৮ সালে একটি সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়েছিল।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ খ্রীস্টাব্দে সরেজমিনে খালেদার বাড়ীতে গিয়ে তাঁর সাথে কথা বলে জানতে পারি- তিনি এলাকার মহিলাদের সেলাই কাজে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি দোকানীর অর্ডারের কাজ করে প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা আায় করেন। স্বামীর রোজগারের সাথে নিজের আয় যোগ করে স্বাচ্ছন্দে পরিবারের খরচ চালাচ্ছে এবং মেয়েদেরকেও স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন বলে খালেদা জানান। এভাবে দেশের হাজারো খালেদাকে স্বনির্ভর করে মুখে হাসি ফোটাতে অ‌বিরত কাজ করে চলছে শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক:) ট্রাস্ট।


হাওরের সামছু এখন সাবলম্বী

সামছুল আলম (পিতাঃ মৃত জামির হোসেন, ধানতুলিয়া , নাছির নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) হাওর এলাকার বাসিন্দা। ভিটে মাটি ছাড়া নিজের কোন জায়গা-জমি নাই তার। চার মেয়ে-স্ত্রী, মাকে নিয়ে ৬ জনের সংসার।

হাওর মানে দিগন্ত বিস্তৃত জলাভুমি। বর্ষায় পানি আর পানি। শুকনোকালে মাঠের পর মাঠ । অন্যের জমিতে কামলা খেটে, আইক্রিম বিক্রি করে, নৌকায় মানুষ পার করে সংসার চালায় সামছুল আলম ।

বছরের অর্ধেক সময়ে বোরো মৌসুমে বীজতলা তৈরী করা, বৈশাখ মাসে গেরস্তবাড়িতে ধান ভানা থেকে শুরু করে গোলায় ধান ভরা পর্যন্ত সব কাজই করে সামছু। সারাদিনে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করে যা পায় তা দিয়ে সংসার চলে না , অভাব লেগেই থাকে।

কিভাবে সাবলম্বী হলেন জানতে চাইলে সামছুল আলম বলেন, বি-বাড়িয়ার মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ এর সাংগঠনিক সমন্বয়কারী কিবরিয়া ভাইকে আমার পরিবারের অভাব অনটনের কথা জানালে তিনি আমাদের মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি ধানতুলিয়া শাখার মাধ্যমে আর্থিক সহায়তার জন্য শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট বরাবর আবেদন করেন। আমার আবেদনটি ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করে আমাকে ডেকে এনে ২৬,০০০/- (ছাব্বিশ হাজার) টাকা সহায়তা হিসাবে প্রদান করেন এবং বলেন এই টাকা ফেরত দিতে হবে না তবে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে।

আমি বাড়ী গিয়ে এই টাকা দিয়ে একটি ধান মাড়াই মেশিন ক্রয় করি। ধন মাড়াই মেশিনের মাধ্যমে এককানি ধান মাড়াই করে ৮শ টাকা পাই। এছাড়া টাকার পরিবর্তে অনেকেই দুই বস্তা ধান দেন। এভাবে আমি আস্তে আস্তে সাবলম্বী হতে থাকি। ধান মৌসুমের বাইরে মেশিনটি নৌকার সাথে যুক্ত করে অটৈয়ারা বাজার ঘাট দিয়ে নৌকায় লোক পারাপার করে আয় করি। এতে আমি ভালভাবে সাবলম্বী হয়ে উঠি। দু’বছর আগে যেই জমির পাশে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকতাম হযরত জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট এর সহায়তায় সেই জমিতে কাজ করে শেষ করতে পারি না। এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে-শান্তিতে আছি। আল্লাহ্ আমাকে যা দিচ্ছে তা দিয়ে ভাল ভাবে জীবন যাপন করছি।


দিনমজুর থেকে দোকানের মালিক

শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট পরিচালিত দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প -এর উদ্যোগে বেকার , পুঁজিহীন, কর্মক্ষম উদ্যোগী ব্যক্তির আর্থিক অবস্থা উত্তরণে সহায়তা প্রদান কর্মসুচির অংশ হিসাবে- মোহাম্মদ দুলাল মিয়া ( পিতাঃ মোহাম্মদ আনোয়ার আলী, মাতাঃ রাবেয়া আক্তার, দক্ষিণ সুলতান সি. হবিগঞ্জ)’ কে দোকানের পূঁজি সহায়তা প্রদান করা হয়।

কথা হয় সহায়তা গ্রহণকারী দুলাল মিয়া’র সাথে। তিনি বলেন, পেশায় আমি ছিলাম একজন দিনমজুর। চার মেয়ে- এক ছেলে, স্ত্রী, মা-বাবা নিয়ে নয় জনের সংসার। অসুস্থ মা’য়ের চিকিৎসা খরচ, পরিবারের জন্য একটা ভাল কাপড় ক্রয় করে দেওয়া সবকিছু ছিল সাধ্যের বাহিরে।

আমার এই দুর্বিসহ জীবনের কথা লিখিত ভাবে মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ, সুলতান সি শাখার মাধ্যমে শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট অফিসে প্রেরণ করি। ট্রাস্ট কতৃপক্ষ আমাকে ৪০,০০০ টাকা সহায়তা হিসাবে প্রদান করেন।

সহায়তার টাকা পেয়ে হবিগঞ্জে গিয়ে ভ্রাম্যমান খাবারের দোকান খুলি। দোকানে ফুচকা, জাল নাস্তা ও বিরাণী বিক্রি শুরু করি। ছয় মাসের মধ্যে আরো একটা দোকান দিই। খরচ বাদ দিয়ে দৈনিক ১৫০০ টাকা আমার রোজগার হয়। আল্লাহর রহমতে আমি এখন দু’টি দোকানের মালিক।


ভাত আর মোটা কাপড়ের ব্যবস্থা করতে পারছি

আমি মোছাম্মৎ রুবি আকতার, স্বামী: আবদুল হক, সাদিকপাড়া, সাতবাড়িয়া, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম।। সংসারের অভাব যেন থামছেই না। কাজ করার উদ্যেগ আছে, সাহস আছে কিন্তু উৎস নেই।

শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট পরিচালিত দারিদ্র বিমোচন প্রকল্প যাকাত তহবিল থেকে আমার স্বামীকে ৪০ হাজার টাকা অনুদান দিলে তা থেকে প্রথমে ২০ হাজার টাকা দিয়ে একটি গোয়াল ঘর নির্মাণ করি এবং ১৯ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু ক্রয় করি। ২ মাস পরে এটি ২৫ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করে দিয়েছি। পরে ২০ হাজার টাকা দিয়ে আরো একটি গরু ক্রয় করেছি। যেটি এখন বাজার মূল্য ৫০ হাজার টাকা।

এ কাজে আমার সাহস ও শারিরীক শক্তি সঞ্চারিত হয়েছে বহুগুণে। সময় ভাল কাটছে, শরীর ভাল আছে। তাই আরো সুবিধা নিয়ে আমি পরিবারের দু’মুটো ভাত আর মোটা কাপড়ের ব্যবস্থা করতে পারছি।



সংবাদ


বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের অভিমত

  •  বিশিষ্ট আল্লাহর অলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ)’র নাম মোবারকের এই ট্রাস্ট যাকাত তহবিল গঠনের মাধ্যমে মানব সেবার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা সর্বজন প্রশংসিত একটি মহতি  উদ্যোগ। প্রিয় নবী (দঃ) বলেন-“ঐ ব্যক্তি সর্বোত্তম যে মানুষের সেবা করে”।
    আবুল হায়াত মুহাম্মদ তারেক
    পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম বিভাগ
  • আমি দেখে অত্যন্ত আনন্দিত যে, শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট’ এমন একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই অনুষ্ঠানের ভিডিও প্রদর্শনী আমার খুব ভালো লেগেছে। এখানে আমি দেখলাম যারা যাকাত গ্রহণ করেছেন তারা সাবলম্বী হচ্ছেন এবং তাদের পরিবার পরিজনকে সাবলম্বী করার শিক্ষা পাচ্ছেন।
    মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন
    জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম।
  • মাইজভাণ্ডার দরবারকে কেন্দ্র করে আজকের যে কার্যক্রম দেখলাম তাতে আমি অভিভূত। এই প্রকল্পের কাজগুলোতে যে তথ্য আছে তাতে ব্যাপক মানুষের অংশগ্রহণ এবং সুষম বণ্টন সত্যিই মাইজভাণ্ডারী দর্শনের যে ব্যাপকতা তা অনুধাবন করা যায়।আমি মনে করি এটির ব্যাপক প্রচার প্রয়োজন আছে। প্রচারের মাধ্যমে বিষয়টি সবাইকে জ্ঞাত করলে যাকাতের সুষম বণ্টনের পাশাপাশি বিভেদটাও কমে যাবে।
    মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ
    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম

ডিজিটাল যাকাত বাক্স

আর্তমানবতার সেবায় আপনার যাকাত প্রদান করতে বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়সহ যে কোনো ব্যাংকিং অ্যাপ থেকে স্ক্যান করুন।